নিউস ত্রিপুরা প্রতিনিধিঃ মধুপুর বন্ধন ব্যাংকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলল এক অসহায় গ্রাহক। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে সেই অসহায় গ্রাহক আইনের দ্বারস্থ হয় এবং অভিযুক্ত বন্ধন ব্যাংকের বিরুদ্ধে তদন্তক্রমে কঠোর শাস্তি দাবি রাখলেন। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ ২০২১ সালের এপ্রিল মাসের ১৬ তারিখ মধুপুর জামচৌমুহনী এলাকার সীমা শীল স্বামীর নাম কনক শীল মধুপুর বন্ধন ব্যাংক থেকে ৮০ হাজার টাকার লোন নেই। প্রতি সপ্তাহে তার ১৫৯৫ টাকা দেওয়ার কথা। যথারীতি প্রতি সপ্তাহে ১৫৯৫ টাকা করে দিয়ে যাচ্ছে কিন্তু এখানে উল্লেখ থাকে বন্ধন ব্যাংকের কর্মীরা যে সময় তাদের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসছে ওই সময় 1595 টাকার বদলে ১৬০০ টাকা নিয়ে আসছে। কিন্তু প্রতি সপ্তাহে যে পাঁচ টাকা বেশি নিয়ে আসছে সে টাকার হিসেবও দিতে পারেনি। যথারীতি সীমা শিল তার লোনের কিস্তি পরিশোধ করার জন্য মাসের পর মাস টাকা দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে হঠাৎ অসুস্থ হওয়ার কারণে এক বছর তিন মাস সেই টাকা পরিশোধ করতে পারেনি। এমন সময় বন্ধন ব্যাংকের কর্মীরা তাদের বাড়িতে গিয়ে অনেক চাপ দিলেও সে টাকা পরিশোধ করতে পারেনি কারণ তাদের পক্ষে টাকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না।পরবর্তী সময়ে সীমা শীলের স্বামী কনক শীল মধ্যপ্রাচ্যের কোন এক দেশে চলে যাই সেখানে গিয়ে জুলাই মাসের 30 তারিখ সেই বন্ধন ব্যাংকের একাউন্টে ৫৫ হাজার টাকা পাঠায়। যথারীতি সীমা শীল অতি আগ্রহ নিয়ে সেই টাকা তুলতে আসে ৬ আগস্ট অর্থাৎ মঙ্গলবার কিন্তু এসে দেখতে পাই তার একাউন্ট থেকে ৪৪৬৫২ টাকা কেটে নেই। ওই সময় তিনি জানতে পেরে চক্ষু যেন চড়ক গাছ হয়ে ওঠে। অসহায় পরিবার সেই টাকা পেয়ে অন্যত্র থেকে লোন নেওয়া সেই টাকা পরিশোধের জন্য আসে এমনকি যে বকেয়া ছিল বন্ধন ব্যাংকের তাও পরিশোধ করে দেওয়ার জন্য আসছিল। এদিকে সীমা শীলের ভাই জানান গত কয়েক মাস যাবত বন্ধন ব্যাংকের কর্মীরা তাদের বাড়িতে গিয়ে বলে আসছিল ১৮ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে এমন সময় 16 হাজার টাকা দিলেই তা মুকুব হয়ে যাবে। এমনকি ৬ আগস্ট অর্থাৎ মঙ্গলবার তাদের বাড়িতে গিয়েও সেই একই কথা বলেছিল। তাহলে ৪৪৬৫২ টাকা কেন কেটে নিলো তা বুঝে উঠতে পারিনি সীমা শীল। পরবর্তী সময়ে বন্ধন ব্যাংকের ম্যানেজার সমীর দাস কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বিভিন্ন বাহানা দেখিয়ে তাদেরকে পাঠিয়ে দেন।সেই অসহায় মহিলা একটা সময় কান্না ভেঙ্গে পড়েন। তার এত টাকা কেটে নেওয়ার কারণ কি। যদিও ব্যাংক ম্যানেজার সুমিত দাসকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বিভিন্ন বাহানা দেখিয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। এদিকে গত কয়েক মাস পূর্বেও মধুপুর বন্ধন ব্যাংক এর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল। আজ আবার সেই প্রতারণার ফলে একটি অসহায় পরিবার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল এবং আইনের দ্বারস্থ হয়ে বন্ধন ব্যাংক এর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দাবি রাখলো।