নিউস ত্রিপুরা প্রতিনিধিঃ দুষ্কৃতিকারীদের আক্রমণে গুরুতর আহত প্রাক্তন উপপ্রধান এবং উনার ছেলে। জানা গেছে শনিবার কমলা সাগর বিধানসভার অন্তর্গত বিক্রম নগর গ্রাম পঞ্চায়েত সংলগ্ন আগরতলা সাব্রুম জাতীয় সড়কের পাশে প্রাক্তন উপপ্রধান রতন দাসের উপর পরিকল্পিত আক্রমণ চালায় বিধায়কের দেহরক্ষীর নেতৃত্বে একদল দুষ্কৃতিকারী। শনিবার সন্ধ্যা ৫ টা নাগাদ কৃষ্ণনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান রতন দাস কে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বিক্রমনগর গ্রাম পঞ্চায়েত সংলগ্ন রাস্তার পাশে গোলাঘাটির বিধায়ক মানব দেববর্মার দেহরক্ষী সমৃত লস্করের নেতৃত্বে তার সহযোগী দিপেশ দেব, বিজন দাস ওরফে লিটু পূর্ব শত্রুতার জেরে আক্রমণ চালায়। রতন দাস কে বাঁচাতে ছুটে আসেন উনার স্ত্রী এবং পুত্র, দুষ্কৃতিকারীরা রতন দাসের স্ত্রীকে ধাক্কা দিয়ে উনার পুত্রকে আক্রমণ করে। এই আক্রমণে রতন দাস গুরুতর ভাবে আহত হয় এবং উনার পুত্রও আহত হয়। এই ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করতে পেরে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে ঘটনার মাস্টারমাইন ্গোলাঘাটির বিধায়ক মানব দেববর্মার দেহরক্ষী সমৃত লস্কর কে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে স্থানীয়রা আহত রতন দাস এবং উনার পুত্রকে উদ্ধার করে হাপানিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে রতন দাস এর সমস্ত পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন রতন দাসের একটি পা, একটি হাত সহ বেশ কয়েক জায়গায় গুরুতর ভাবে আঘাত লাগার ফলে ভেঙ্গে গেছে। শনিবার রাতেই প্রাক্তন ঊপপ্রধান রতন দাসের পরিবারের পক্ষ থেকে গোলাঘাটির বিধায়ক মানব দেববর্মার দেহরক্ষী সমৃত লস্কর সহ বিজন দাস এবং দীপেশ দেবের বিরুদ্ধে লিখিত আকারে আমতলী থানায় মামলা দায়ের করে। পুলিশ শনিবার রাতেই ঘটনাস্থলে এসে প্রাথমিক তদন্ত করে। অভিযোগ বিধায়ক মানব দেববর্মার দেহরক্ষী সমৃত লস্কর রতন দাসসহ উনার পরিবারকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। আরো অভিযোগ বিধায়কের দেহরক্ষী সমৃত লস্কর বিক্রম নগর পঞ্চায়েত এলাকার বেশ কিছু শৃংখল ব্যক্তিদের সাথে মেলামেশা করছে এবং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জনকে বিধায়ক এর নাম ভাঙ্গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে আহত রতন দাস বাড়িতে বিছানায় শয্যাশায়ী। রবিবার বিকেলের সংবাদ মাধ্যমের দ্বারস্থ হয়ে আহত রতন দাস গোটা ঘটনাটি তুলে ধরতে গিয়ে পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।