নিউস ত্রিপুরা প্রতিনিধিঃ উত্তর ত্রিপুরার কদমতলা থানার কুর্তি মধ্য রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আনুর উদ্দিনের উপর দুষ্কৃতীদের প্রাণঘাতী হামলার ঘটনায় কেটে গেছে এক মাস। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি কদমতলা থানা পুলিশ। ফলে এলাকাজুড়ে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ ও অসন্তোষ। জানা গেছে, গত ১৬ জুলাই ২০২৫ সালের রাতের বেলা চার-পাঁচ জন দুষ্কৃতী ধারালো অস্ত্র নিয়ে আনুর উদ্দিনের উপর হামলা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কদমতলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ধর্মনগর জেলা হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে বহিরাজ্যে স্থানান্তরিত করা হয়। দীর্ঘ এক মাস চিকিৎসার পর আহত আনুর উদ্দিন বাড়ি ফিরলেও এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি। ঘটনার পরদিনই আহতের পরিবার কদমতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ কোনো অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এতে ক্ষুব্ধ পরিবার ও স্থানীয়রা মনে করছেন—“শস্যের মধ্যে ভূত রয়েছে”, নইলে এত গুরুতর একটি হামলার পরও অভিযুক্তরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে কিভাবে থাকে! অভিযুক্তরা হলেন—তাজ উদ্দিন, শরীফ উদ্দিন, সাদ্দাম হোসেন এবং জুভেল আহমেদ। সকলে কুর্তি মধ্য রাজনগর গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।অভিযুক্তদের গ্রেফতার না হওয়ায় অসন্তুষ্ট আহত ব্যক্তির পরিবার এবার জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছে এবং লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। গোটা কদমতলা এলাকায় এ নিয়ে চলছে তীব্র সমালোচনা। স্থানীয়দের অভিযোগ, একসময় রাষ্ট্রপতি কালার্স প্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের নাম শুনলেই দুষ্কৃতীরা ভয়ে কাঁপতো। আর আজকাল পুলিশের ভূমিকা সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে ‘ডিনার পার্টি’ পর্যন্ত, ফলে অপরাধীরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে।এখন দেখার বিষয়, জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে কদমতলা থানা কত দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারে কি না।