উত্তর ত্রিপুরা জেলার কদমতলা ব্লক এলাকায় আবারও বামগ্রেসের দুর্গে ভাঙন

Oct 28, 2025

উত্তর ত্রিপুরা জেলার কদমতলা ব্লক এলাকায় আবারও বামগ্রেসের দুর্গে ভাঙন

নিউস ত্রিপুরা প্রতিনিধিঃ  উত্তর ত্রিপুরা জেলার কদমতলা ব্লক এলাকায় আবারও বামগ্রেসের দুর্গে ভাঙন। কালাগাঙ্গের পার গ্রাম পঞ্চায়েতের পর এবার রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতেও ভরসা হারাল বামগ্রেস জোট। প্রধান রেবা দাসের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে পঞ্চায়েত দখলের পথে এগিয়ে গেল বিজেপি।     জানা গেছে, গত ৯ অক্টোবর রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রেবা দাসের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে জমা পড়ে জেলা পঞ্চায়েত কর্মকর্তার কাছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হয় অনাস্থা ভোট।   অনাস্থা ভোটের প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পঞ্চায়েত অফিসার কাজল দাস। তাঁর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে দেখা যায়— প্রধান রেবা দাসের পক্ষে পড়ে মাত্র দুটি ভোট, আর অনাস্থার পক্ষে পড়ে নয়টি ভোট। অর্থাৎ, ১১ সদস্যের রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে বিপুল ব্যবধানে হেরে যান বামগ্রেস সমর্থিত প্রধান।   উল্লেখ্য, শেষ ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১টি আসনের মধ্যে বিজেপি জয়ী হয় ৫টিতে, কংগ্রেস ৪টিতে ও সিপিআই(এম) ২টিতে। পরে সিপিআই(এম) ও কংগ্রেস যৌথভাবে বামগ্রেস জোট গঠন করে পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় আসে। প্রধান হন সিপিআই(এম)-এর রেবা দাস এবং উপপ্রধান হন কংগ্রেসের কবির হোসেন।  তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক সমীকরণে পরিবর্তন আসে। বিজেপি ও কংগ্রেস— দুই দলেরই নির্বাচিত সদস্যরা প্রধানের বিরুদ্ধে একযোগে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। ফলস্বরূপ, বামগ্রেস পরিচালিত পঞ্চায়েতের পতন ঘটে।    প্রিসাইডিং অফিসার কাজল দাস জানান, “ভোটাভুটির সমস্ত নথিপত্র জেলা পঞ্চায়েত অফিসারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। তাঁর নির্দেশ অনুসারে পরবর্তীতে নতুনভাবে পঞ্চায়েত গঠন করা হবে।  সব মিলিয়ে, কদমতলা ব্লক এলাকায় বামগ্রেসের শক্ত ঘাঁটিতে টানা দ্বিতীয় দফায় ধাক্কা খেল বামগ্রেস। রাজনৈতিক মহলের মত— রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েত হারানো জোটের জন্য বড় রাজনৈতিক ধাক্কা হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।