নিউস ত্রিপুরা প্রতিনিধিঃ গত ষোলোই অক্টোবর গন্ডাছড়া মহকুমা হাসপাতালে প্রসব করা কন্যা সন্তানকে অভাবের যন্ত্রনায় দশ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা হয়েছে বলে দাবী গন্ডাছড়া সিপিএম বিভাগীয় নেতৃত্বদের দাবী। অপরদিকে গন্ডাছড়া মহকুমার মহকুমা শাসক সিপিআইএম দলের এই দাবীকে নস্যাত করে দিয়ে বলেন তিনি তা তদন্ত করে দেখবেন। উল্লেখিত আলোচনা গুলি হয় শুক্রবার মহকুমা শাসকের অফিস কক্ষে। ওইদিন ধলাই জেলার গন্ডাছড়া মহকুমার সিপিআইএম দলের বিভাগীয় কমিটির উদ্যোগে পাঁচ জনের এক প্রতিনিধি দল পাঁচ দফা দাবী সম্বলিত একটি স্মারক পত্র নিয়ে মহকুমা শাসক চন্দ্রজয় রিয়াং -এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দীর্ঘক্ষন আলোচনা করে স্মারকপত্রটি প্রদান করেন।প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক ললিতমোহন ত্রিপুরা, নেতৃত্ব সুশান্ত হাজারী, নেত্রী অর্চনা দাস সহ অন্যান্যরা। মহকুমা শাসকের নিকট প্রদান করা স্মারকপত্রে প্রতিনিধিরা দাবী জানান ষোলোই অক্টোবরগন্ডাছড়া মহকুমা হাসপাতালে মহকুমার লক্ষীপুর এডিসি ভিলেজের হলুদঝাড়ি পাড়ার দীন দরিদ্র সূর্য্যবাহন চাকমার স্ত্রী একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। সিপিআইএম নেতৃত্বদের অভিযোগ অভাবের তাড়নায় মাত্র দশ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই কন্যা সন্তানটিকে তার পিতা মহকুমার গাছবাগানের এক ব্যক্তির নিকট বিক্রি করে দেয়। স্মারকপত্রে নেতৃত্বরা আরো উল্লেখ করেন যে দীন দরিদ্র হওয়া সত্ত্বেও সূর্য্যবাহন চাকমা এপিএল কার্ডে অন্তর্ভুক্ত। ঘরবাড়ি নেই বললেই চলে। স্মারকপত্রে দাবী জানিয়ে নেতৃত্বরা বিক্রি হওয়া শিশু কন্যা সন্তানটিকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবী জানান। দীন দরিদ্র সূর্য্যবাহন চাকমার এপিএল রেশন কার্ডটিকে পরিবর্তন করে বিপিএল করার দাবী জানানো হয়। সূর্য্যবাহনের পরিবারে একটি আবাস যোজনা ঘরের ব্যবস্থা করার দাবী জানান প্রতিনিধিরা। জবাবে গন্ডাছড়া মহকুমার মহকুমা শাসক চন্দ্রজয় রিয়াং বলেন মহকুমায় অভাবের তাড়নায় শিশু বিক্রির মতো ঘটনার কোন খবর নেই। যদি হয়ে থাকে পুরোদমে সঠিক তদন্ত করবে মহকুমা প্রশাসন।প্রতিনিধি দলের দাবী অনুযায়ী দীন দরিদ্র সূর্য্যবাহনের পরিবারের পাশে দাঁড়াবে মহকুমা প্রশাসন।