পুলিশ, টিএসআর এবং সিআরপিএফ জওয়ানদের ঘেরাটোপে থাকা গন্ডাছড়া মহকুমা বাজার সংলগ্ন জগন্নাথবাড়ি সংলগ্ন শ্রীশ্রীরামচন্দ্র দেবের সেবাশ্রমটিও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। গন্ডাছড়া মহকুমার বিভিন্ন ধর্ম প্রতিষ্ঠান গুলিও চোরের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। অভিযোগ -শুক্রবার রাতের কোন এক সময়ে চোরের দল হানা দেয় মহকুমা বাজার সংলগ্ন রামঠাকুর সেবাশ্রমে। মূল মন্দিরের দরজা ভেঙে ভিতরে থাকা মন্দিরের প্রণামীর বাক্সটি হাতিয়ে নেয় চোরের দল। শনিবার সাতসকালে মন্দিরের পূজারী আসতেই দেখতে পান মূল মন্দিরের দরজা ভাঙা। সঙ্গে সঙ্গেই মন্দিরের কর্মকর্তাদের মোবাইলে ঘটনাটি জানান পূজারী। সংবাদ পেয়েই মন্দিরে ছুটে আসেন কর্মকর্তা প্রমীল দেব এবং নৃপেন্দ্র রায় সহ অন্যান্য ভক্তরা। খবর পাঠানো হয় পুলিশে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গন্ডাছড়া মহকুমা থানার পুলিশ। শুরু করেন তদন্ত। লক্ষ করে দেখা গিয়েছে লোহার কিছু আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে মন্দিরের মূল দরজাটির তালা ভেঙে মন্দিরে প্রবেশ করে চোরের দল। মন্দিরের ভিতরে থাকা প্রণামীর বাক্সটি হাতিয়ে নেয় চুরের দল। শনিবার সাতসকালে মন্দিরে পূজা দিতে এসে উক্ত চুরির ঘটনা আবিষ্কার করে মন্দিরের পূজারী। উক্ত ঘটনায় পুলিশের উপর থেকে আস্থা হারাচ্ছে সাধারণ লোকজন। বিভিন্ন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। মন্দির কর্তৃপক্ষ প্রমীল দেব জানান প্রতি বছরের তিন মাস অন্তর অন্তর প্রণামীর বাক্স খোলা হয়ে থাকে। প্রমীল দেবের আরো অভিযোগ চুরি হওয়া প্রণামীর প্রায় ১৫হাজার টাকা ছিল। প্রণামী বাক্সটি চুরি হয়ে গেলেও মহাপ্রভু শ্রীশ্রীঠাকুরের চূড়ায় থাকা সোনার চূড়াটি অক্ষত রয়েছে বলে জানান প্রমীল দেব। উক্ত চুরির ঘটনায় গোটা দুর্গাপুর গ্রামে এবং সাধারণ মানুষ সহ ভক্তদের মধ্যে গভীর চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।