পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা হাসিল করতে জেলা ভিত্তিক পর্যালোচনা বৈঠক শুরু করেছে পঞ্চায়েত দপ্তর। মঙ্গলবার রাজ্য অতিথিশালায় পঞ্চায়েত দপ্তরের পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিষদের পর্যালোচনা বৈঠক হয় ।এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী কিশোর বর্মন।
পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের প্রথম কিস্তির টাকা গোটা দেশের মধ্যে তিনটি রাজ্য পেয়েছে। এর মধ্যে ত্রিপুরা একটি। এইটাকায় পঞ্চায়েত গুলিতে কতটা অগ্রগতি হয়েছে তা নির্ধারণে প্রতি তিন মাস পরপর পর্যালোচনা বৈঠক করে চলছেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী কিশোর বর্মন । গত তিন মাস আগে অনুষ্ঠিত হয় জেলাভিত্তিক প্রথম পর্যালোচনা বৈঠক। সেই বৈঠকে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া হয় ।ঐ লক্ষ্যমাত্রার কতটা পূর্ণ হয়েছে তা নির্ধারণ করতে দ্বিতীয় পর্যায়ের জেলা ভিত্তিক পর্যালোচনা বৈঠক শুরু করেছে পঞ্চায়েত দপ্তর। এরই অঙ্গ হিসেবে মঙ্গলবার রাজ্য অতিথিশালায় পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিষদের পর্যালোচনা বৈঠকের আহ্বান করেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী কিশোর বর্মন । এই বৈঠকে গত তিন মাস আগের বৈঠকে গৃহীত পরিকল্পনাগুলির কতটা কাজ করা হয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনায় দেখা গেছে, গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহের প্রায় ৯০% পূরণ করা সম্ভব হয়েছে। এদিনের বৈঠকে আগামী তিন মাসের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় ।এই পরিকল্পনাকে সামনে রেখে পঞ্চায়েত দপ্তর কাজ করবে ।এদিন এই পর্যালোচনা বৈঠক প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত মন্ত্রী কিশোর বর্মন এই কথা জানান ।তিনি জানান ,পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পেতে গেলে এই ধরনের অ্যাচিভমেন্ট অত্যন্ত প্রয়োজন ।আর এই উন্নয়নের চাকা সচল রাখতেই এই ধরনের পর্যালোচনা বৈঠকের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে বলে জানান পঞ্চায়েত মন্ত্রী কিশোর বর্মন।
এদিন তথ্য দিয়ে পঞ্চায়েত মন্ত্রী কিশোর বর্মন জানান, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিষদের অন্তর্গত একমাত্র বেলবাড়ি ব্লক বাদে অন্যান্য সব কটি ব্লকে গত তিন মাস আগে গৃহীত পরিকল্পনার ৮০ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে বাকি কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।