ত্রিপুরার কুমারঘাটে বিশ্বকর্মা পূজোর বাজারে মন্দার প্রভাব।

নিউস ত্রিপুরা প্রতিনিধিঃ    রাত পোহালেই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বারো মাসে তেরো পার্বনের মধ্যে অন্যতম পার্বন বিশ্বকর্মা পূজো। সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে মানুষের বাড়ীঘরেও এদিন পূজিত হবেন দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা। বুধবার বিশ্বকর্মা পূজো উপলক্ষে বাজারে পসরা নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। তবে অন্যান্যবারের মতো এইসময়ে নেই ক্রেতার উপস্থিতি। বিক্রেতাদের ছোট্ট একটা অংশ বলছে বিক্রি ভালো হচ্ছে পূজোর। আবার অধিকাংশ বিক্রেতারাই বলছেন ক্রেতার অভাবে ভালো চলছেনা পূজোর বাজার। ত্রিপুরার ঊনকোটি জেলার কুমারঘাটেও পূজোকে ঘিরে বাজারে রকমারি সরঞ্জাম নিয়ে হাজির ফল, মূর্তী সহ অ্যান্য পূজো সরঞ্জামের বিক্রেতারা। অনিমেষ পাল নামের এক ফল বিক্রেতা জানান, বিশ্বকর্মা পূজোর বাজার অনেকটাই খারাপ অন্যান্যবারের তুলনায়। এবছর একাদশী তিথীতে পূজো হওয়ায় অনেকেই তেমন আয়োজন করছেননা পূজোর। গতবছর যেমনটা বিক্রি হয়েছিলো এবারে নেই তেমন বিক্রি। ফলে কাচামালে পচন ধরে ক্ষতির আশঙ্কা তাড়া করে বেড়াচ্ছে ফল বিক্রেতাদেরকে।শুধু তাইনয়, বৃষ্টির কারনেও মানুষ বের হতে পারছেননা বাজারে। কয়েকদিন ধরে একনাগাড়ে বৃষ্টির প্রভাব পূজোর বাজারে পড়েছে বলে জানান অনিমেষ পাল নামের ঐ ফল বিক্রেতা।     এদিকে অনিমেষ পুকায়স্থ নামের আরো এক ফল বিক্রেতা জানালেন, এবছর পূজোয় আপেল, আঙুর, তরমুজের চাহিদা বেশি। গতবছরের তুলনায় এবারে কমদামে সামগ্রী কিনতে পারছেন মানুষ। লাভের হার কম রেখে এবারে তিনি বিক্রি করছেন ফল। এবছর আপেলের দাম সবচাইতে কম এবং আমের দর অনেটাই বেশি বলে জানান ফল বিক্রেতা।V/O:- এদিকে পূজোর বাজারে কেনাকাটা করতে এসে সুবর্ন ভট্টাচার্য নামের এক ক্রেতা বলেন, শুধুমাত্র পূজোর বাজার করার উদ্দেশ্যেই বাজারে এসেছেন তিনি। পূজোর ঘট, পান সুপারি, গামছা সহ আনুসাঙ্গিক পূজোর বিভিন্ন সরঞ্জাম কিনেছেন তিনি। এবারে পূজোর বাজারে জিনিসের দর কিছুটা বেশি বলে জানান ঐ ক্রেতা। তিনি জানান এবছর বাজারে ক্রেতার সংখ্যাও নেই তেমন। মানুষের হাতে টাকা নেই তাই মানুষ বাজারে তেমন কেনাকাটা করতে আসছেননা বলে জানান ক্রেতা