নিউস ত্রিপুরা প্রতিনিধিঃ ফের গণতাড়া মাইক্রো ফাইন্যান্স কর্মীদের। গণতাড়া খেয়ে বন জঙ্গল ভেঙে কোন রকমে পালিয়ে রইস্যাবাড়ি থানায় আশ্রয় নিয়ে গণ ধোলাইর হাত থেকে রক্ষা পান মাইক্রো ভারত ফাইন্যান্স -এর ছয় কর্মী। শেষে রইস্যাবাড়ি থানার ওসি -র মধ্যস্থতায় ঘটনার আপাতকালীন সমাধান হয়। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহকুমার সর্বত্র মাইক্রো ভারত ফাইন্যান্স -এর গ্রাহকদের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।ঘটনার বিবরণে জানা গেছে মাইক্রো ভারত ফাইন্যান্স -এর এজেন্ট বা কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে গত বছরখানেক পূর্বে ধলাই জেলার গন্ডাছড়া মহকুমার বিভিন্ন জনজাতি অধ্যুষিত গ্রাম এবং পাড়াগুলিতে প্রবেশ করে। জানা যায় গন্ডাছড়া মহকুমার রইস্যাবাড়ি থানা এলাকার কিনাকিশোর পাড়া, ভূঁইয়াছড়া সহ আরো বেশ কয়েকটি পাড়ায় ঘাঁটি গাড়ে ওই মাইক্রো ভারত ফাইন্যান্স -এর কর্মীরা। সহজ সরল জনজাতি গ্রামবাসীদের মোটা অংকের লোন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অফিসিয়াল কাজের অজুহাত দেখিয়ে রইস্যাবাড়ি এলাকার প্রায় দুইশজন গ্রাহকের কাছ থেকে চার হাজার পাঁচ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেয়। যা লোনের সঙ্গে মিটিয়ে দেওয়ার কথা।এরমধ্যে কিছু কিছু গ্রাহককে আটাশ হাজার ত্রিশ হাজার টাকা করে লোনও প্রদান করে ওই মাইক্রো ভারত ফাইন্যান্স কোম্পানি। কিন্ত অফিসিয়াল কাজের কথা বলে এবং লোনের সঙ্গে ফেরত দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া চার এবং পাঁচ হাজার টাকার কোন হিসাব পাচ্ছিলো না গ্রাহকরা। তানিয়ে গত কয়েক মাস যাবৎ মাইক্রো ভারত ফাইন্যান্স -এর প্রতারক কিস্তির টাকা সংগ্রহকারীদের সঙ্গে মত বিরোধ চলছিল গ্রাহকদের। প্রায় মাসখানেক পূর্বে কিনাকিশোর পাড়ায় লোনের কিস্তির টাকা সংগ্রহ করতে আসলে ভারত ফাইন্যান্স -এর পাঁচ জন প্রতারককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলো জনজাতি গ্রাহকরা। ওইদিন প্রতারণা করে সহজ সরল জনজাতি গ্রাহকদের ঠকিয়ে হাতিয়ে নেওয়া কয়েক লক্ষ টাকা মিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে হাতে পায়ে ধরে তখনকার মতো পাড় পেয়ে যান। বৃহস্পতিবার রইস্যাবাড়ি থানা এলাকার বিভিন্ন গ্রামে প্রবেশ করে মাইক্রো ভারত ফাইন্যান্স -এর ছয় জন প্রতারক লোনের কিস্তির টাকা সংগ্রহ শুরু করতেই গোটা এলাকায় সংবাদটি ছড়িয়ে পড়ে। সংবাদ পেয়েই প্রতারিত জনজাতি অংশের প্রায় শতাধিক মহিলা পুরুষ ওই প্রতারকদের ধাওয়া করে। অবস্থা বেগতিক বুঝে বন জঙ্গল ভেঙে দৌড়ে কোন রকমে রইস্যাবাড়ি থানায় আশ্রয় নিয়ে গণ ধোলাইয়ের হাত থেকে রক্ষা পায় ভারত ফাইন্যান্সর ছয় প্রতারক। শেষে রইস্যাবাড়ি থানার ওসি -র মধ্যস্ততায় তখনকার মতো সমস্যার সমাধান হয়। জানা যায় সাধারণ মানুষ বা গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতারণা করে নেওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেন ধাওয়া খাওয়া ভারত ফাইন্যান্স -এর কর্মকর্তা বিমল যোগেন জ্যোতি।