সমান্তরালভাবে প্রতিটি কুমোড় পাড়াতেও এখন ব্যস্ততা মৃৎশিল্পীদের মধ্যে।

Oct 18, 2025

সমান্তরালভাবে প্রতিটি কুমোড় পাড়াতেও এখন ব্যস্ততা মৃৎশিল্পীদের মধ্যে।

নিউস ত্রিপুরা প্রতিনিধিঃ  গ্রাম থেকে শহর সব জায়গাতেই এখন মূর্তি নির্মাতাদের মধ্যে চলছে মূর্তি তৈরিতে ব্যাপক তোরজোড়। রাজ্যের ঊনকোটি জেলার গ্রামীণ এলাকা ফটিকরায়ের রাজনগর গ্রামের মৃৎশিল্পী সুধাংশু রুদ্রপাল জানিয়েছেন, এবছর ত্রিশটি কালীমূর্তি নির্মাণ করছেন তিনি। তবে আগের বছরের তুলনায় অনেকটা কমেছে মূর্তির বরাত। সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকা থেকে সর্বনিম্ন ১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত মূর্তির দাম নির্ধারণ রয়েছে তার কারখানায়। সুধাংশু বাবু জানান, একটানা ২৫ বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি। মৃৎ শিল্পীর মতে নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়েছে, বেড়েছে শ্রমিকের হাজিরাও। কিন্তু মূর্তির দাম সেই হারে বাড়ছে না। ফলে বর্তমান বাজারে কমেছে লাভের পরিমাণ। দিনরাত এক করে চলছে তাদের মূর্তি নির্মাণের কাজ। সুধাংশু রুদ্রপালের মতে মূর্তি নির্মাণের সামগ্রী আগে অনেকটাই সংগ্রহ করা যেত বিভিন্ন জায়গা থেকে। বর্তমানে সবকিছুই কিনে আনতে হচ্ছে বাজার থেকে ফলে কমেছে লাভের হার। অন্যদিকে গ্রামের পাশাপাশি শহর এলাকাতেও চলছে দেবীর অবয়ব তৈরির কাজ। জেলার কুমারঘাট শহরের মৃৎশিল্পী স্বপন কুমার দাসও জানিয়েছেন একই হতাশার কথা। মৃৎশিল্পী জানান, গতবছর তিনি ৬০ টি মূর্তি তৈরি করলেও এবছর ৩০ টি মূর্তি তৈরি করছেন বরাদ নিয়ে। তাঁর কারখানায় মূর্তির দাম সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা এবং সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা। তিনি জানান লক্ষ্মীপুজোর পর থেকেই শুরু হয়েছে কালীপুজোর কাজ। বর্তমানে রংয়ের প্রলেপ লাগানোর কাজ চলছে মাটির প্রতিমায়। তিনি জানান প্রাকৃতিক বিপর্যয় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলো কাজের ক্ষেত্রে। দুর্গাপুজো এবং বিশ্বকর্মা পুজো পাশাপাশি থাকায় সমস্যা হয়েছে কালীপুজোর কাজ করতে।   স্বপন কুমার দাস জানান, তার জীবনের সাত বছর বয়স থেকে এই মাটির শিল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি। বর্তমানে ৫০ পেরিয়েও একইভাবে কাজ করে চলেছেন তিনি। মৃৎশিল্পী জানান বড়ো মূর্তির থেকে ছোট মূর্তির চাহিদাই বেশি রয়েছে বর্তমান বাজারে। মূর্তি তৈরীর সমস্ত সরঞ্জাম কিনে আনতে হয় বাজার থেকে ফলে লাভের হার আগের মতো এখনো নগণ্য‌ই রয়েগেছে বলে জানালেন মৃৎশিল্পী। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেলেও এই পেশার উপর ভর করেই কোনমতে তার সংসার চলছে বলে জানালেন স্বপন কুমার দাস।