নিউস ত্রিপুরা প্রতিনিধিঃ না, সাতদিন অতিক্রান্ত হতে চললেও আজও নিজ বাড়িতে ফিরলো না নিখোঁজ ব্যক্তি। পরিবারে চলছে হাহাকার এবং কান্নার রোল। উনুনে জ্বলছে না আগুন, বসছে না ভাতের হাঁড়ি। নিখোঁজ ব্যক্তির কোন হদিশ দিতে পারছে না মহকুমা থানার পুলিশ। নিখোঁজ ব্যক্তির ঘটনায় গভীর ষড়যন্ত্রই বলে মনে করছে সাধারণ লোকজন। প্রসঙ্গত গন্ডাছড়া মহকুমার ডুম্বুরনগর ব্লকের উত্তর গন্ডাছড়া এডিসি ভিলেজের হরিপুর এলাকার বারোকার্ড গ্রামের বাসিন্দা দিনমজুর আনুমানিক পঞ্চান্ন বছরের ব্যক্তি সূর্য্যমোহন দাস। পেশায় কাঠ মিস্ত্রী সূর্য্যমোহন দাস গত বৃহস্পতিবার সকাল নাগাদ কাজের সন্ধানে বারোকার্ডের নিজ বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু বৃহস্পতিবার তিনি আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। শুক্রবার সাতসকাল থেকে পরিবার পরিজনরা এলাকার বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবর করেও সূর্য্যমোহনের কোন হদিশ না পেয়ে গন্ডাছড়া থানায় একটি নিখোঁজ ডাইরি করেন। তদন্তে নামে গন্ডাছড়া মহকুমা থানার পুলিশও। কিন্ত সাতদিন অতিক্রম হতে চললেও আজও বাড়িতে ফিরে আসেন নি সূর্য্যমোহন দাস। আমরা বিস্তারিত সংবাদ প্রকাশ করেছি। আমাদের প্রকাশিত সংবাদের জেরে বুধবার নিখুঁজের বাড়িতে গিয়ে সমস্ত ঘটনার খোঁজ খবর নেন এমডিসি ভূমিকানন্দ রিয়াং সহ প্রাক্তন যুবমোর্চার সভাপতি তপন চৌধুরী, দ্বীপ দাস, অগ্নি দাস সুব্রত সাহা সহ একদল প্রতিনিধি। এমডিসি ভূমিকানন্দ রিয়াংকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে নিখুঁজের স্ত্রী নন্দরানী দাস। পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে নন্দরানীর হাতে কিছু নগদ অর্থ তুলে দেন এমডিসি ভূমিকানন্দ রিয়াং। প্রাক্তন যুবমোর্চার সভাপতি তপন চৌধুরী সহ অন্যান্য প্রতিনিধিরা নিখুঁজের পরিবারের হাতে চাল ডাল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এবং কিছু নগদ অর্থ তুলে দেন। নিখোঁজ ব্যক্তি সূর্য্যমোহন দাস যাতে খুব সহসাই বাড়িতে ফিরে আসে তার জন্য সকল প্রচেষ্টা জারি রাখবেন বলে জানান এমডিসি ভূমিকানন্দ রিয়াং এবং অন্যান্য প্রতিনিধিরা।