বাস কন্টাক্টর দীপঙ্কর ভক্ত'কে গ্রেফতার ঘিরে উত্তাল তেলিয়ামুড়া থানা এলাকা। কিন্তু এই গ্রেফতার ঘিরে শুরু হয়েছে প্রবল বিতর্ক ও ক্ষোভ।
শ্রমিকদের অভিযো,,,এটি সম্পূর্ণ মিথ্যে মামলার ফাঁদ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ষড়যন্ত্র!
ঘটনা শনিবার সকালে।
অভিযোগ, আগরতলা থেকে তেলিয়ামুড়া গামী একটি চলন্ত বাসে শুক্রবার সকালে এক মহিলা যাত্রীর শরীরে হাত দিয়েছেন দীপঙ্কর ভক্ত।
ওই মহিলা তেলিয়ামুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শুক্রবার রাতে।
তবে এখানেই শুরু হয় নাটকীয় মোড়।
শ্রমিকদের দাবি,, অভিযোগ দায়েরের আগেই শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটায় পুলিশ দীপঙ্কর'কে থানায় তুলে নিয়ে আসে হাওয়াই বাড়ি নাকা পয়েন্ট সংলগ্ন এলাকা থেকে। তবে তেলিয়ামুড়া থানায় লিখিত অভিযোগের দায়ের করা হয় শুক্রবার রাতে। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, দীপঙ্কর ভক্তের বাড়ি রাজধানীর আগরতলার কোন স্থানে।
তাঁদের প্রশ্ন—লিখিত অভিযোগের আগে কীভাবে পুলিশ তাঁকে অভিযুক্ত প্রমাণ করে গ্রেফতার করল?
ঘটনা এখানেই শেষ নয়।
তেলিয়ামুড়া বাস চালক সংঘের এক শীর্ষ নেতা তপন দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে,, তিনি মহিলার অভিযোগের উপর ভিত্তি করে বাসস্ট্যান্ডে দীপঙ্কর'কে মারধর করেছেন এবং মহিলার সঙ্গে কথাবার্তা বলে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে দীপঙ্কর কে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর জন্য অপ্রত্যক্ষ মদত দিচ্ছেন।
এই ঘটনার পর তেলিয়ামুড়া থানার চত্বর কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা শনিবার সকালে থানার সামনে জড়ো হয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তাঁদের দাবি, একজন শ্রমজীবী মানুষকে এভাবে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হবে, আর আমরা চুপ করে থাকব—তা হবে না!”
অন্যদিকে, পুলিশ কোনও মন্তব্য করতে নারাজ।
তবে জানা গেছে, গ্রেফতার হওয়া দীপঙ্কর ভক্তকে শনিবার খোয়াই জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে।